পাইলস এবং ফিস্টুলা কী?
পাইলস (হেমোরয়েড) হলো মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরের অংশে শিরাগুলোর অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া, যা অনেক সময় রক্তপাত, চুলকানি ও ব্যথার কারণ হতে পারে। এটি মূলত দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে মলত্যাগ, গর্ভাবস্থা বা স্থূলতার কারণে হতে পারে। অন্যদিকে, ফিস্টুলা হলো মলদ্বার ও আশেপাশের ত্বকের মধ্যে একটি অস্বাভাবিক সংযোগ বা নালি, যা সাধারণত সংক্রমণের ফলে সৃষ্টি হয়। ফিস্টুলার কারণে মলদ্বারের চারপাশে ঘা, পুঁজ বা রক্তপাত হতে পারে এবং এটি সাধারণত সার্জারি ছাড়া সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না।
কারা Bioplasgen® No. 17 সেবন করবেন?
✔️ যাদের পাইলস (হেমোরয়েড) সমস্যা রয়েছে (বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ)।
✔️ যারা ফিস্টুলার কারণে সংক্রমণ ও ব্যথার শিকার।
✔️ যাদের পাইলসের কারণে রক্তপাত হয়।
✔️ যারা অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এবং পাইলস সমস্যা রয়েছে।
✔️ দীর্ঘদিনের মলদ্বারের প্রদাহ বা অসুবিধায় যারা ভুগছেন।
পাইলসের লক্ষণসমূহ:
- মলদ্বার থেকে রক্তপাত (বিশেষ করে মলত্যাগের সময়)।
- মলদ্বারে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া।
- মলদ্বারের চারপাশে ব্যথাযুক্ত বা নরম ফোলা অংশ অনুভূত হওয়া।
- মলত্যাগের সময় ব্যথা ও অস্বস্তি।
- দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে বা মলত্যাগের পর ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
- মলদ্বারের চারপাশে শিরা ফুলে ওঠা।
ফিস্টুলার লক্ষণসমূহ:
- মলদ্বারের চারপাশে ছোট ফোঁড়া বা পুঁজযুক্ত ঘা।
- মলদ্বারের চারপাশ থেকে পুঁজ বা রক্তপাত হওয়া।
- মলত্যাগের সময় বা পর ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- মলদ্বার ও আশপাশের ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া।
- মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা শক্ত অংশ অনুভূত হওয়া।
- দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ এবং মলদ্বার থেকে দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হওয়া।
পাইলস এবং ফিস্টুলা রোগের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
Bioplasgen® No. 17 কীভাবে কাজ করে?
Bioplasgen® No. 17 হলো একটি স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যা পাইলস (হেমোরয়েড) এবং ফিস্টুলার উপসর্গ উপশমে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটি রক্তপাতযুক্ত বা রক্তপাতবিহীন পাইলস, বাহ্যিক পাইলসের কারণে সৃষ্ট জ্বালাপোড়া ও ব্যথা এবং ফিস্টুলার সংক্রমণজনিত জটিলতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
Bioplasgen® No. 17 সেবনের নিয়ম:
✅ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: ৪টি ট্যাবলেট, প্রতিদিন ৪ বার (৩ ঘণ্টা অন্তর)।
✅ শিশুদের জন্য: ২টি ট্যাবলেট, প্রতিদিন ৪ বার (৩ ঘণ্টা অন্তর)।
✅ খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা পরে গ্রহণ করা ভালো।
সতর্কতা ও সংরক্ষণ বিধি:
- গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
- শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।